ঢাকার সাভারে মাংস বিক্রির আড়ালে নিজের বাড়ির ছাদে অভিনব কায়দায় গাঁজার বাগান গড়ে তুলেছেন এক কসাই। টবের মধ্যে এ গাঁজার বাগানটি দূর থেকে দেখলে মনে হবে ফুলের বাগান। কিন্তু এ বাগানে ফলানো গাঁজার গাছ তিনি বিক্রি এবং নিজে মাদক হিসেবে সেবন করতেন।
এমন গোপন খবরে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সাভার মডেল থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি গাছসহ হাজী শুকুর আলী (৫২) নামের ওই কসাইকে গ্রেফতার করে।
সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসান শিকদারের নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি দল সাভার পৌরসভার মজিদপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে। এ সময় কসাই শুকুর আলীর বাড়ির ছাদে চাষ করা বেশ কয়েকটি গাঁজার গাছ জব্দ করা হয়।
জানতে চাইলে সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসান শিকদার জানান, বাড়ির ছাদে অনেকটা অভিনব কায়দায় গাঁজা চাষাবাদের অভিযোগে আটক শুকুর আলীকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশের একটি দল। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গ্রেপ্তারকৃত কসাই শুকুর আলীর বিরুদ্ধে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের বিরুলিয়া সড়কে আফসার কটন মিল সংলগ্ন “হাজী শুকুর আলী গোস্ত বিতান” থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ অসুস্থ ও মরা গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও কসাই শুকুর আলী নব্বই এর দশকে রাজধানী ঢাকায় স্ব-দলবলে ডাকাতি করতো বলে তথ্য দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। একসময়ের কুখ্যাত এই আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সরদার শূন্য পকেটে সাভারে এসে দুই যুগ ধরে মাংস বিক্রির আড়ালে ভারতে বিভিন্ন প্রাণীর কিডনি পাচার সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত বলেও জানা গেছে। অবৈধ পন্থায় অর্থ উপার্জনের টাকায় সাভার পৌরসভার মজিদপুর এলাকায় কয়েকটি আলিশান বাড়ি রয়েছে তার। আর শুক্রবার বিকেলে সেই বাড়ি থেকেই সাভার মডেল থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন কসাই শুকুর আলী।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।